নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসামে অনাবাদি, পতিত ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) আওতায় আদর্শ পুষ্টিবাগান বাস্তবায়নকারী কৃষকের বাড়িতে "নিরাপদ সবজি উৎপাদন বিষয়ে" উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের নোয়াপাড়া ব্লকের নৈরপাড় গ্রামের কৃষক মোঃ মফিজুর রহমানের বাড়িতে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য অনাবাদী, পতিত ও অব্যবহৃত জমিকে চাষের আওতায় এনে শাকসবজি, ফলমূল জাতীয় ফসল আবাদ সম্প্রসারণ করা। এ লক্ষ্যে কৃষকের নিজ উদ্যোগে এবং প্রকল্পের আওতায় কালিকাপুর মডেলের পুষ্টিবাগান স্থাপনসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ সম্প্রসারণ হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পুষ্টি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে উঠান বৈঠক বা সচেতনতা বৃদ্ধি করা খুবই জরুরী। চমৎকার আয়োজনে এ উঠান বৈঠকে সাধারণ কৃষক-কৃষানীবৃন্দ মাঠ পর্যায়ে কিভাবে কালিকাপুর মডেলে সবজি আবাদ করতে হবে তা সরেজমিনে দেখানো হয়।
উঠান বৈঠকে ২০ জন উপকারভোগীর প্রত্যেককে মানসম্মত স্থানীয় উন্নত জাতের সবজী বীজ চার প্যাকেট (মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক, গিমা কলমি ও ডাটা শাক), দুটি করে উন্নত জাতের ফলের চারা, একটি করে পুষ্টি প্লেট ও পুষ্টি কার্ড এবং একটি করে লিফলেট দেয়া হয়।
কান্দিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ মফিজুর রহমান ভাসানীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আলী আহমদ, নোয়াপাড়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নয়ন চন্দ্র দাস, ছনগাঁও ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আখতার জাহান প্রমুখ।
.jpg)
