অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০/১২ দিন আগে অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশী সুমী আক্তারের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাইনছাটিয়া গ্রামের দুলালের দোকানের সামনে সহিদা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এলোপাতাড়ি মারধর করে আনোয়ার হোসেন মোস্তফা ও সুমি আক্তারসহ কয়েকজন। এসময় তারা তার জেঠাত ভাই দুলালকেও পিটিয়ে আহত করে এবং দোকানে অনধিকার প্রবেশ করে প্রায় ১৫ হাজার টাকার সিগারেট ও নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে সহিদা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে চাঁদপুর রেলগেইট এলাকায় ফের হামলার শিকার হন বাদী ও সাক্ষীরা। ভুক্তভোগীরা জানান, এসময় সাহাপাড়ার মিঠু (৩০), কুন্দ্রার আবুবকর সুমন (৪০), বিবাদী আনোয়ার হোসেন মোস্তফার ছেলে ওমর (১৮), ভাগিনা সাব্বির (২০), ফয়সাল (১৮)সহ ১০-১৫ জন লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে সাক্ষী দুলাল মিয়া (৫৫), সবুজ (৪০) ও সাহিদা বেগম (৪৬) গুরুতর আহত হন।
তাদের প্রথমে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এদিকে অভিযুক্ত আবুবকর সুমন ও মিঠু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনায় আমরা জড়িত নই। আমরা ঘটনাস্থলেও ছিলাম না।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।