Featured

Type Here to Get Search Results !

মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন বানভাসি সালেহা বেগম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: উঠোনে হাঁটুর উপরে পানি, রাস্তায় কোমর পানি আর ঘরে এখনো টাকনুর উপরে পানি। পানি কমার সাথে সাথে মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র ঘরটি একদিকে দেবে গিয়ে কাত হয়ে যাচ্ছে। রান্নার চুলা, টয়লেট সবই পানির নিচে। উপায়ান্তর না দেখে পরিবারের ৬ সদস্যকে নিয়ে উঠেছেন আরেক গরীব আত্মীয়ের বাড়িতে। এ করুণ চিত্র কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের রামপুর মধ্যপাড়া বেপারী বাড়ির বানভাসি বিধবা সালেহা বেগমের (৫৫)।

একমাত্র ছেলে শাহাদাত হোসেনের বয়স যখন ২ বছর তখন তার স্বামী রফিকুল ইসলাম মারা যান। একমাত্র সন্তানকে বুকে নিয়ে আগলে রাখেন। বড় হলে বিয়ে দেন পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে। ছেলের শশুর নেই, শাশুড়িও প্রতিবন্ধী। দরিদ্র পরিবার। ৩ নাতি-নাতনি, বউ-ছেলে নিয়ে তাদের জীর্ণশীর্ণ ঘরেই নিয়েছেন আশ্রয়। ছেলের মামা শ্বশুরদের সহযোগিতায় কোনোমতে চলছে সংসার।

সালেহা বেগমের মা মধুরুন্নেছা, বাবা মনোহর আলী বেঁচে নেই। মায়ের দেয়া এক শতক জায়গা ভরাট করে ঘর তুলে বসবাস করতেন।

সালেহা বেগম জানান, বন্যার শুরুতে প্রায় এক সপ্তাহ ঘরেই ছিলাম। সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ বা কোন ধরনের সহযোগিতা পাইনি। মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র ঘরটি পশ্চিম-দক্ষিনে হেলে গেছে। খুঁটিগুলোতে ফাটল ধরেছে। আবার কোনোটি ভেঙেও পড়ছে।

এ সময় তিনি একটি ঘরের জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।

সালেহা বেগমের ছেলে শাহাদাত হোসেন জানান, অটোরিকশা চালিয়ে সাড়ে চারশ-পাঁচশ টাকা আয় হতো। মালিকের জমা দিতে হয় সাড়ে তিনশ টাকা। বাকি এক-দেড়শ টাকায় সংসারের কিছু্ই হয় না। আর এখন ভাড়াও তেমন নেই। বর্তমানে মালিকের জমাও উঠে না। এজন্য বেকার বসে আছি।

সালেহার ছেলের বউ সুমি আক্তার জানান, ৩ সন্তান, স্বামী-শাশুড়ি নিয়ে বড় কষ্টে আছি। বড় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বড় দুশ্চিন্তা হয়। একমাত্র ঘরটিও হেলে পড়ছে। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে।

Top Post Ad

আলমাছ ষ্টীল এন্ড স্টান্ডার্ড ফার্ণিচার