নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এনজিও ছওয়াব (সোশ্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার এন্ড অ্যাডভান্সমেন্ট ইন বাংলাদেশ) ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত তুরস্কের ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক এয়ারপোর্টে অনুষ্ঠিত ৪র্থ আন্তর্জাতিক এনজিও মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। ইসলামিক ওয়ার্ল্ডের এনজিও ইউনিয়ন (ইউএনআইডব্লিউ) এবং তুরস্কের ভলান্টারি অর্গানাইজেশনস ফাউন্ডেশন (টিজিটিভি) এ মেলার আয়োজন করে। মেলায় বিশ্বের ৬০টি দেশের ২০০টিরও বেশি এনজিও অংশগ্রহণ করে।
ছওয়াব (সোশ্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার এন্ড অ্যাডভান্সমেন্ট ইন বাংলাদেশ)'র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ লোকমান হোসেন তালুকদার জানান, মেলাটি বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়।
তিনি জানান, ছওয়াব -এর স্টল (এ২-৬১) আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়। বিশেষতঃ ইসলামিক ওয়ার্ল্ডের এনজিও ইউনিয়নের (ইউএনআইডব্লিউ) সদস্যদের নজর কাড়ে। এদের মধ্যে ছিলেন, ইউএনআইডব্লিউ মহাসচিব এবং কাউন্সিল সদস্যগণ। তাঁরা ছওয়াব -এর বাংলাদেশে পরিচালিত কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
নাহার-ইউএসএ (নর্থ আমেরিকান হিউম্যানিটারিয়ান এইড এন্ড রিলিফ) এর নির্বাহী পরিচালক ড. শরিফুল ইসলাম লাবলু স্টল পরিদর্শনকালে ছওয়াবের মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি ভবিষ্যতে এ প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
মেলার উদ্বোধনী ভাষণে ইস্তাম্বুলের গভর্নর দাউত গুল সংকট মোকাবিলা, শরণার্থী সহায়তা এবং বৈশ্বিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এনজিওগুলোর ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি যুবসমাজের ক্ষমতায়ন ও পরিবারকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে শক্তিশালী জাতি গঠনে সিভিল সোসাইটির গুরুত্ব উল্লেখ করেন।
মেলাটি গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বৈশ্বিক সংকটগুলোকে কেন্দ্র করে আলোচিত হয়। ২৩ নভেম্বর মেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে গাজা-ইস্তাম্বুল ডিক্লারেশন স্বাক্ষরিত হবে, যা চলমান গণহত্যার অবসান এবং ইসলামী বিশ্বে সংহতি জোরদার করার আহ্বান জানাবে।
ছওয়াবের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন, সংস্থার চেয়ারম্যান এস.এম. রাশেদুজ্জামান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন, ট্রাস্টি সদস্য ড. কামরুল হাসান, তুরস্ক প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং স্বেচ্ছাসেবক ওয়ালিল্লাহ ও মিনহাজুল আবেদীন।
ছওয়াব'র চেয়ারম্যান এস. এম. রাশেদুজ্জামান বলেন,
'এই মেলাটি আমাদের মানবসেবার লক্ষ্য শক্তিশালী করতে এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি অমূল্য প্লাটফর্ম প্রদান করেছে।
ছওয়াবের এই অংশগ্রহণ মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদ্ভাবনী কার্যক্রম, অ্যাডভোকেসি এবং কার্যকর অংশীদারিত্বের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।