নিজস্ব প্রতিবেদক:কুমিল্লার লাকসামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক বিধবাকে বেদম মারধরসহ হাঁড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের হারাখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিধবা জাহানারা আক্তার ছকিনা (৪০) জানান, ৭/৮ বছর আগে তার স্বামী ওমর ফারুক মারা যান। মানুষের বাসায় কাজ করে জীবননির্বাহ করি। পৈত্রিক জমিতে ঘর তুলে দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছি। বিগত ২০/২৫ বছর আমরা এ সম্পত্তি ভোগ দখলে আছি। ১০/১২ দিন পূর্বে আমার পুরনো বসতঘরটি ভেঙে নতুন ঘরের কাজ শুরু করি। গত ১৯ জানুয়ারি দুপুরে একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে বছির (৪০), মৃত মাজেদুল হকের ছেলে সোহেল (৩৫), মৃত ওজিউল্লার ছেলে সালাম (৬৫), আ. জলিলের ছেলে মীর হোসেন (৪০) ও মৃত বদিউল আলমের ছেলে মাইন উদ্দিন (৪০) অজ্ঞাত আরো কয়েকজন মিলে ধারালো দা ও লাঠি-সোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে বেদম মারধর করে। তাদের আঘাতে আমার হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে যায় এবং একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। আমাকে রক্ষায় আমার বড় ভাই মাইন উদ্দিন (৫০) তাকেও মারধর করে দুস্কৃতকারীরা। আমাদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। প্রতিপক্ষের বাঁধায় ঘরের চালা দিতে না পারায় ঘর ভাঙ্গার পর থেকে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে লাকসাম থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লাকসাম থানার ওসি মোঃ সাহাবুদ্দীন খান বলেন, বিধবাকে মারধর ও হাঁড় ভেঙে দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।