নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকায় এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত তিনজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিকটিমের বয়স আনুমানিক ২০ বছর এবং তিনি মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ফতেপুর এলাকার আবুল খায়ের বিড়ি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ৮ জুন তারিখে তার কথিত প্রেমিক রিফাতকে খুঁজতে লাকসাম বাজারে আসেন। সেখানে তার সঙ্গে অটোচালক এনায়েত রহমান সাক্কুর পরিচয় হয়। সাক্কু তাকে শহরে রিফাতকে খুঁজতে সহায়তা করেন। কিন্তু সন্ধ্যার পর তারা লাকসাম রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয়।
রাত ১০টার দিকে কিছু বখাটে ওই তরুণীকে উত্যক্ত করতে শুরু করলে সাক্কু নিজেকে তার স্বামী বলে পরিচয় দেন। তবে পরে সাক্কু সেই পরিচয় অস্বীকার করে উল্টো বখাটেদের সঙ্গে যোগসাজশে তাকে প্রতারণা করে।
পরদিন ভোররাতে (৯ জুন) বখাটেরা তরুণীকে রেলস্টেশন থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে এক পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানেই খোরশেদ, সাগর ও স্বপন তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
ধর্ষণের পর ভিকটিম কোনোমতে নিজ কর্মস্থলের মেসে ফিরে যান এবং ঘটনার কথা জানান। সংবাদ পেয়ে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন সুলতানা এবং লাকসাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোমেন মজুমদার তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে সাক্কু, সাগর ও স্বপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন সুলতানা জানান, ভিকটিমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মামাতো ভাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে লাকসাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় মামলা রুজু করে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।