রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পূর্ব আউশপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল ব্যাংক কর্মকর্তা অহিদুর রহমানকে কুপিয়ে ও স্ত্রী-সন্তানসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শণে আসা কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (লাকসাম সার্কেল) সোমেন মজুমদার বলেন, থানার ওসিসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। ডাকাতির বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। তথ্য সংগ্রহ করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা অহিদুর রহমান আউশপাড়া গ্রামের মৃত কারী আবদুল হাকিমের ছেলে। অহিদুর রহমান সোনালী ব্যাংক লাকসাম শাখার কর্মকর্তা হিসেবে তিন বছর পূর্বে অবসরে যান।
ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা অহিদুর রহমানের স্বজন মাষ্টার মাসুদুর রহমান বলেন, রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে মুখোশ পরিহিত আগ্নেয়াস্ত্রধারী ১৫/২০ জনের ডাকাতদল বাড়ীর গেট কেটে ও ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। ডাকাতদল অহিদুর রহমানের বেডরুমে আসলে তিনি টের পেয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিলে তারা অস্ত্র দিয়ে তার মাথা আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। রক্তাক্ত জখম দেখে তার স্ত্রী ও সন্তান শোর চিৎকার করলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। এতে চারজনই আহত হয়। পরে ঘরের আসবাবপত্র ও আলমিরা ভেঙে তছনছ করে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই আহত ব্যাংক কর্মকর্তা অহিদুর রহমানকে স্বজনরা উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার মেয়ে আঁখি আক্তার বলেন, বাবা'র মাথায় রক্তাক্ত জখম দেখে আমি চিৎকার করি। এসময় আমাকে গলায় পাড়া দিয়ে গায়ে থাকা স্বর্ণালংকার ও আমার মায়ের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমাদের শোর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে এগিয়ে এলে ডাকাতরা মালামাল নিয়ে বাড়ির পশ্চিম দিকে ফসলি জমির মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই বাড়িতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি শাবলসহ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।
.jpg)
