নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসামে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে লাকসাম পৌরসভার কাদরা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ ও ৫ আগস্ট কুমিল্লায় নিরীহ ছাত্র জনতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ মার্চ ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী এ বিশেষ অভিযান চালায়।
অভিযানটি রাত ১:৩৫ থেকে ২:৫০ পর্যন্ত পরিচালিত হয়। এতে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় কোনো পূর্ববর্তী মামলা না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, পৌরসভার সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মোঃ খোরশেদ আলম, গুনতি গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন অন্তর, কাদ্রা গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে মোঃ সাফায়ত উল্লাহ, একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ সুজন মিয়া ও উত্তর সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে হুমায়ুন ফরিদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা, ২টি চাপাতি, একটি ছেনি (ধারালো অস্ত্র), একটি কাঁচি, একটি নোটবুক, ৫টি মোবাইল সেট, ৫টি গ্যাস লাইট উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা বিএ-৮৭৮১ মেজর তাহসিন ফয়সাল (৫ সিগনাল ব্যাটালিয়ন) জানিয়েছেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের ফলে এলাকা সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।