লাকসাম পৌরসভার সহযোগিতায় নবাব ফয়জুন্নেছা জাদুঘর প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম, লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন সুলতানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহমেদ উল্লাহ সবুজ, লাকসাম বাজার বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুট্টো, সাংবাদিক এমএস দোহা, উপজেলা যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বিতর্ক উৎসবের প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয় ১৯ মে লাকসাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে। এরপর ২০ মে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৬টি স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নবাব ফয়জুন্নেছা চর্চার একটি দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। উদ্যোক্তা ইউএনও কাউছার হামিদের এ উদ্যোগ স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে এবং নবাব ফয়জুন্নেছার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়িয়েছে।
নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছিলেন, উপমহাদেশের নারী শিক্ষার অগ্রদূত। বেগম রোকেয়ার জন্মের ৭ বছর আগে তিনি কুমিল্লায় গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তার জমিদারির অন্তর্ভুক্ত ১৪টি মৌজায় গড়ে তুলেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মক্তব, মাদ্রাসা ও বালিকা বিদ্যালয়। শুধু তাই নয়, ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে বালিকা বিদ্যালয় এবং মক্কা শরীফে মুসাফির খানা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে নারী শিক্ষায় তার অনন্য অবদান রেখে গেছেন।
তবে এতদিন ধরে নবাব ফয়জুন্নেছার এই অবদান অনেকটাই আড়ালে ছিল। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সামনে তার অবদানকে তুলে ধরার একটি কার্যকর উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।