নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার শাহ আলম দুলাল (৪৮) ও তার দলের ১৩ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও দেবিদ্বার থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
গ্রেফতারকৃত
ডাকাত সদস্যদের মধ্যে রয়েছে- দেবিদ্বারের নবীয়াবাদের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে ২৬ মামলার
আসামি ডাকাত সর্দার শাহ আলম দুলাল (৪৮), মুরাদনগর উড়িরচর (খা বাড়ীর মৃত আবুল হাশেমের
ছেলে ২১টি মামলার আসামি মোঃ মনির হোসেন (৪০), ব্রাহ্মনপাড়ার সিধলাই ইউনিয়নের ফরিদ মিয়ার
ছেলে মোঃ মামুন মিয়া (২৪),একই উপজেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে মাহবুব আলম (৩৮),সদর দক্ষিণ
উপজেলার বিজয়পুরের ইলিয়াছ মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০), বুড়িচংয়ের জুরাইন মাইকপাড়ার
মৃত নসু মিয়া ছেলে ৭ মামলার আসামি মোঃ আল আমিন
(৩২), বরুড়ার মহেশপুর, কাজী বাড়ীর মৃত আব্দুর রবের ছেলে মোঃ কামাল হোসেন (৩২), একই
উপজেলার খোশবাশ বাশতলী নোয়াবাড়ীর আব্দুল করিমের
ছেলে ৯ মামলার আসামি মোঃ খোকন (৪০), দক্ষিণ হোসেনপুরের আবদুল মুবিনের ছেলে আল আমিন
(২৫), চান্দিনার কংগাইয়ের তাজুল ইসলামের ছেলে শরীফ মোশারফ শরীফ (৩২), চিলোড়ার আব্দুল
খালেকের ছেলে ১৩টি মামলার আসামি মোঃ সুমন (৩৩), ও ১৫টি মামলার আসামি মোঃ সোহেল (২৬),
মুরাদনগরের হিরাকাশী এলাকার কালা মিয়ার ছেলে এক মামলার আসামি মোঃ আব্দুল আউয়াল (৫০),
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সন্তোপুরের নির্মল বিশ্বাসের ছেলে নিহার বিশ্বাস (৪৮)।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর লালমাই থানায় দুটি ডাকাতির ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বাঙ্গরাবাজার এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। টহল জোরদার থাকায় তারা ডাকাতি করতে না পেরে দেবিদ্বারের দিকে রওনা দেয়। সেখানে পুলিশের চেকপোস্টে পৌঁছালে হাইচ মাইক্রোবাসে থাকা ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে ১৩ জনকে আটক করা হয়।অভিযানে একটি কালো রঙের হাইচ মাইক্রোবাস, দেশীয় অস্ত্র (কুড়াল, রামদা, চাপাতি, কাটার প্লাস, চেইন), মোবাইল ফোনসহ ডাকাতির সরঞ্জাম এবং ডাকাতি হওয়া চার জোড়া স্বর্ণের দুল, একটি স্বর্ণের আংটি, একটি রুপার নুপুর, একটি লাল রঙের স্বর্ণ রাখার বক্স ও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা সম্প্রতি কুমিল্লার লালমাই এলাকায় তিনটি, বরুড়ায় একটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ডাকাত সর্দার দুলালের নামে রয়েছে ২৬টি এবং মনির হোসেনের নামে রয়েছে ২১টি মামলা।
সংবাদ
সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল
হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ
বড়ুয়া ও জেলা গোয়েন্দা
পুলিশের ইনচার্জ মো. আবদুল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।







.jpg)



