Featured

Type Here to Get Search Results !

রেলওয়ের জায়গা থেকে ৬৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব সংবাদদাতা: কুমিল্লার নাঙ্গলকোট বাজারে রেলওয়ের জায়গা থেকে ক্ষতিপূরণ লাইসেন্স এর আওতায় নির্মাণ করা স্থাপনা, দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী নাঙ্গলকোট বাজার রেলগেইট থেকে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন, রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী।
অভিযানে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব পাশের রাস্তার পাশে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা চাউলের আড়ৎ, মোবাইল মেরামতের দোকান, ক্রোকারিজ, ফুল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, স্টুডিও, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার চেম্বার, ফার্ণিচার, থাই এলুমিনিয়াম, টেইলার্স, প্রেস, সেলুন, মনোহারি দোকান, চায়ের দোকান, হোটেলসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী ৬৭টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। 

এব্যাপারে নাঙ্গলকোটের রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বশিরুজ্জামান বলেন, যেহেতু সকল স্থাপনা মালিকদের কাছে রেলওয়ে কতৃপক্ষের দেওয়া ক্ষতিপূরণ নামক একটি লাইসেন্স রয়েছে তাই রেলওয়ে কতৃপক্ষ যদি এই উল্লেখিত লাইসেন্সদারীদের ঘর উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে এই লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করে উচ্ছেদের পূর্বে সকল স্থাপনা মালিকদের চিঠি দেওয়া উচিত ছিলো। ক্ষতিপূরণ লাইসেন্সের আওতায় স্থাপনা মালিকদেরকে কোনো প্রকার চিঠি না দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া লাইসেন্সকারীদের উপর অন্যায় করা হয়েছে। আমি রেলওয়ে কতৃপক্ষের এমন হটকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং রেলওয়ে কতৃপক্ষের কাছে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া স্থাপনা মালিকদের ক্ষতিপূরণের দাবী জানাই। 

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চাকমা বলেন, আমি অভিযানে শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৫০টি স্থাপনা দখলমুক্ত করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা, রেলওয়ের কানুনগো, স্টেশন মাস্টারসহ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Top Post Ad

আলমাছ ষ্টীল এন্ড স্টান্ডার্ড ফার্ণিচার