সংবাদদাতা: ১৯৮৫ সালে চাঁদপুর-চট্টগ্রামে রুটে চালু হয়েছিল মেঘনা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন। চালুর পর থেকে একই কোচ দিয়ে ট্রেনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। যদিও এর কোনো সুবিধা পায়নি মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন।
বিষয়টি সামনে রেখে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনকে আধুনিকায়ন ও ট্রেনের গন্তব্যস্থল চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করার দাবি জানায় ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম। সম্প্রতি রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদনও করা হয় ফোরামের পক্ষ থেকে। এতে সাড়া দিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে রেলের পরিচালক (ট্রাফিক কন্ট্রোল) মো. মিজানুর রহমান জানান, ফোরামের আবেদন রেল মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। মেঘনা ট্রেনের পুরোনো কোচ পরিবর্তন করে অবমুক্ত হওয়া অন্য কোচ সংযোজন করা হবে চলতি মাসেই। মার্চের মধ্যেই কক্সবাজার পর্যন্ত মেঘনা ট্রেনের রুট বর্ধিত করা হবে। এছাড়া চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটের যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরও একজোড়া আন্তঃনগর ট্রেন দেয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিচেনা করা হবে।
পরিচালক আরও জানান, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ফোরামের চিঠির কপিসহ পূর্বাঞ্চল রেলওয়েকে জানানো হবে। এরপর দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে ফোরামের সভাপতি এবং দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম চাঁদপুরবাসী এবং চাঁদপুরের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মেঘনা ট্রেনের বিষয়টিও তেমনই একটি উদ্যোগ। রেলপথে চাঁদপুরের মানুষের দুর্দশা লাঘবে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরকে একটি পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ফোরামের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। প্রস্তাব রাখা হয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুরের পৌর মেয়রের কাছেও।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক একেএম রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ফোরাম এ পর্যন্ত অনেকগুলো জনবান্ধব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় সবগুলো উদ্যোগই সফল হয়েছে। যে দু-একটি বিষয় বাকি আছে, তাও বাস্তবায়ন হবে বলে আশা রাখি।
তিনি জানান, মেঘনা ট্রেনের বিষয়টি ফোরামের জন্য একটি উজ্জ্বল মাইলফলক হয়ে থাকবে।