
এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষিতা মেল্লা জেসিসিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে সহপাঠিকে খবর দিতে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। পথিমধ্যে মুখ চেপে ধরে নির্জন একটি খালি ঘরে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই গ্রামের খান বাড়ির রেফায়েত হোসেন (৪০)। পেশায় মাইক্রোবাস চালক রেফায়েত বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে আগেও ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। অভিযুক্ত রেফায়েত বান্দুয়াইন খান বাড়ির মৃত ইদ্রিস খানের ছেলে। তার স্ত্রী ও তিন ছেলে রয়েছে। রেফায়েত হোসেনের বড় ছেলে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনার পর কালক্ষেপণ করে ওই গ্রামে তিনবার শালিস বৈঠক হয়। গ্রামের সর্দার রবিউল হোসেন, রুহুল আমিন মাষ্টার, মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে এ শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে রেফারেত ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে প্রথমে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে ধর্ষিতার সাথে ধর্ষকের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে উভয়পক্ষ একমতও হয়। পরে রেফায়েত বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে আবারো শালিস বসে ধর্ষকের ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এতে ধর্ষিতার পরিবার বেঁকে বসে এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে, শালিস বৈঠকে নেতৃত্ব দেয়া রুহুল আমিন মাষ্টার, মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছি। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে বৈঠকের রায়ে ধর্ষক রেফায়েত প্রথমে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হলেও পরে অস্বীকার করে। এখন সে কাউকে মানছে না।
এ ঘটনায় বান্দুয়াইন গ্রামের ষাটোর্ধ্ব জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা ধর্ষকের ফাঁসি চাই।
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। আমরা ধর্ষক রেফায়েত হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরাও এ সময় অভিযুক্ত ধর্ষক রেফায়েত হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
অপরদিকে, ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য চাইতে অভিযুক্ত রেফায়েত হোসেনের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে খিলা ইউনিয়নের বান্দুয়াইন গ্রামে মানববন্ধনে জয়নাল আবেদীন, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ খোকন, আবুল কালাম, নুরুন্নবী, বাচ্চু মিয়া, মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগমসহ অর্ধশত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান কবির জানান, আমরা বিলম্বে সংবাদ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।






.jpg)


