নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ৮ বছর পর আদালতের মাধ্যমে ৮ শতক জমি বুঝে পেলেন আনোয়ার উল্লাহ (৬৭)। তিনি মনোহরগঞ্জ উপজেলার বসৈয়া তালতলা গ্রামের বগূ মিয়ার ছেলে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিরোধপূর্ণ জমি পরিমাপ করতে আসা কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের নায়েব নাজির মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, আনোয়ার উল্লাহর পক্ষে আদালতের রায়ের আলোকে আমরা বিরোধপূর্ণ জমির সীমানা নির্ধারণ করেছি। কারো আপত্তি থাকলে আদালতকে জানাতে পারেন।
এ সময় কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের এডভোকেট কমিশনার নজরুল ইসলাম মানিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, বর্তমান মেম্বার ফরিদ হোসেন, ষাটোর্ধ্ব ইউনুছ মিয়া, ফজলুল হক মুন্সীসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
আনোয়ার উল্লাহ জানান, একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আমান উল্লাহ, আইয়ুব খান ও এমরান হোসেনের কাছ থেকে ১৯৯৭ সালে বসৈয়া মৌজায় হালে ৫৭৬ সাবেক ৩৬২ দাগে ৫৫নং খতিয়ানে ৮ শতক জমি কিনে ভোগ দখল করেছিলেন। ২০০৮ সালে লাকসাম সাবরেজিষ্ট্রি কার্যালয়ে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দেন তারা। ২০১৬ সালে অনন্ত কুমার শীলের ছেলে জীবন চন্দ্র শীল ৩০/৩৫ জন লোক এনে জোরপূর্বক বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান ৩২টি গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং জমিটি দখল করে। স্থানীয়ভাবে প্রতিকার না পেয়ে ২০১৭ সালে কুমিল্লা আদালতে মামলা করেন তিনি। ২০২২ সালের মে মাসে আনোয়ার উল্লাহর পক্ষে রায় দেন আদালত।
মৈশাতুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তৎকালীন মেম্বার নুরুল ইসলাম বলেন, জীবন চন্দ্র শীল একতরফা একটি রায়ের কপি দেখিয়ে জায়গাটি দখল করেন। কিন্তু আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আজ তিনি জায়গাটি পূণরায় ফিরে পেলেন। এতে এলাকায় স্বস্তি এসেছে।