Featured

Type Here to Get Search Results !

শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনে মনোহরগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দেন শিক্ষকরা।

মানববন্ধনে মাধ্যমিক শিক্ষকরা শিক্ষা জাতীয়করণের একদফা দাবি জানিয়ে বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯৭ শতাংশই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ করা অত্যন্ত জরুরী। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই বই পড়ানো, একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা অথচ সরকারি ও বেসরকারি নাম দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার মধ্যে বিরাট বৈষম্য তৈরি করে রাখা হয়েছে। যা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের অন্তরায়। একজন সরকারি শিক্ষক যেখানে বেতন পান ৩০ হাজার টাকা, সেখানে বেসরকারি শিক্ষক পান মাত্র ১২ হাজার টাকা। তাছাড়া, বেসরকারি শিক্ষকদের বদলীরও সুযোগ নেই। আর শিক্ষা প্রশাসনে সরকারি শিক্ষকদের পদায়ন আমাদের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর।

শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা বিভাগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- একাডেমিক ও প্রশাসনিক।  শিক্ষকরা একাডেমিক কাজে দক্ষ, ক্লাসরুমের শিক্ষণ-শিখনে তারা দক্ষ। শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সকল প্রশিক্ষণ প্রশাসনিক। শিক্ষকতা ও প্রশাসন ভিন্ন চরিত্রের ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কাজের ধরন ভিন্ন চর্চা বা অনুশীলনও ভিন্ন। শিক্ষকরা প্রশাসনে অনভিজ্ঞ। জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপপরিচালক পদে তাদের পদায়ন করা হলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শূন্যতা যেমন সৃষ্টি হয়, তেমনি ক্লাসরুম শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ একজন শিক্ষককে উল্লেখিত পদে পদায়ন করা হলে বিভিন্ন বিধি বিধান সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান না থাকায় অধস্তন লোকজনের পরামর্শ দ্বারা পরিচালিত হতে হয়। এতে দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা হয়।

এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকগণকে পদায়ন করা হলে প্রশাসনিক কাজে অনভিজ্ঞ এ শিক্ষকের অধীনে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসারগণকে কাজ করতে হবে। এতে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। এ সময় তারা উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখায় ৩১ বছর শিক্ষা প্রশাসনে কাজের দক্ষতা সম্পন্ন ষষ্ঠ গ্রেড অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদোন্নতি ও পদায়ণের দাবীসহ দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের জোর দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুছ, একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুজ্জামান, শরীফপুর সাজেদুল হক উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, নাথেরপেটুয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হুজ্জাতুল ইসলাম, লক্ষণপুর ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ বশারি, নাথেরপেটুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল, ভোগই আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস ভূঁইয়া, পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন, ফেনুয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শাহআলম, বরল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম মিন্টু, লক্ষণপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল পাটোয়ারী প্রমুখ। এ সময় উপজেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার প্রধান ও সহকারী শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

Top Post Ad

আলমাছ ষ্টীল এন্ড স্টান্ডার্ড ফার্ণিচার