নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসামে মরিয়ম আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে মনোহরগঞ্জের হাজীপুরা গ্রামে পিত্রালয়ে তার লাশ দাফন করা হয়।
নিহত মরিয়ম আক্তার লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ইরুয়াইন গ্রামের রুবেলের স্ত্রী।
মরিয়মের মা সামিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী রুবেল হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক বানিয়েছে। রুবেল একজন মাদকাসক্ত, এলাকার চিহ্নিত জুয়াড়ি। সে বিভিন্ন সময় আমার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। আমার মেয়েকে সে বিভিন্ন সময় যৌতুক ও নেশার টাকার জন্য অত্যাচার করতো। তাদের সংসারে আব্দুল্লাহ আল মাহি (৫) ও রাইসা ইসলাম মোমো (২) নামে দুটি অবুঝ সন্তান আছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, লাকসামের কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ইরুয়াইন গ্রামে শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৯টায় এ নিহতের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রুবেল ইরুয়াইন গ্রামের মৃত আছমত আলী ও মৃত আঙ্কুরের নেছার দ্বিতীয় ছেলে। রুবেল, সে একই গ্রামের মিনু নামে এক মেয়েকে পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে দ্বিতীয় বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে মরিয়ম ও রুবেলের সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। রুবেল নেশাগ্রস্ত, এলাকার চিহ্নিত জুয়াড়ি। নিহত মরিয়ম মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের হাজিপুরা গ্রামের আবদুল মান্নারে চতুর্থ মেয়ে।
নিহত মরিয়মের বোন জুলেখা বেগম বলেন, আমার বোনকে রুবেল শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। সে বিগত দুই তিন দিন যাবত নেশার টাকার জন্য আমার বোনকে বেধড়ক পিটিয়েছে। আমি রুবেলের ফাঁসি চাই।
মরিয়মের মা সামিনা বেগম বলেন, আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারকারী থানার এসআই আব্দুল লতিফ বলেন, নিহতের মুখে সামান্য আঘাতের চিহ্ন আছে। আমাদের ধারণা এটি আত্মহত্যা।
লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা গৃহবধূ নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা নিহত মরিয়মের পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নিবো।