নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও, তার দোসররা বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে দেশকে ও বর্তমানে দায়িত্বরত অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাই শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপি ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরকে ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কেননা ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের বিব্রত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে।
শনিবার সকাল ১০টায় কুমিল্লার লাকসামে একটি কনফারেন্স হলে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ উপজেলায় (কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসন) কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সাবেক ডাকসু সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এবং লাকসাম আনছারিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী।
তিনি বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে লাকসামের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি, ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের (বিএনপির) মনোনয়ন চেয়ে আসছি। দল আমাকে মনোনয়ন না দিলেও, দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করে আসছি। কখনো দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে কোন কিছু করার চেষ্টা করিনি।কিন্তু আজকে যারা নিজেদেরকে স্ব-ঘোষিত নেতা দাবী করে আসছেন। তারা বিএনপিতে কেউ আবিস্কার হয়েছে, কেউ বহিষ্কার হয়েছে, কেউ সংস্কার হয়েছে।
তিনি বিগত ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়কালে দল ও ব্যবসা-বানিজ্য করতে গিয়ে বহু নির্যাতন এবং ক্ষতিগ্রস্থের বর্ননা তুলে ধরেন। লাকসাম উপজেলা বিএনপির দুই অবিসংবাদিত নেতা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ সাইফুল ইসলাম হিরু এবং লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজকে অন্যায়ভাবে গুম করার পর আজও তাদের কোন হদিস না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের চুড়ান্ত পতন হয়েছে। আর এ আন্দোলনে শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহত সকলের সুস্থতা কামনা করেন তিনি
তিনি আরো বলেন, আমি কেন্দ্রীয় বিএনপি ও লাকসাম -মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সকল সিদ্ধান্তকে সম্মান রেখে রাজনীতি করে আসছি।
সকল প্রকার কোন্দল ও গ্রুপিংকে বিলুপ্ত করে, ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গড়তে চাই। আর এ কাজটি তৃণমূল ও ছাত্র রাজনীতি করা নেতা থেকে যারা বর্তমানে বিএনপি করেন, এটা তাদের পক্ষেই সম্ভব হবে। আমি মানবতার স্বার্থে রাজনীতি ও সমাজনীতি করতে চাই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাই লাকসাম-মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা কর্মীদেরকে
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এবং দেশমাতা খালেদা জিয়া ও তারণ্যের অহংকার তারেক জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি লাকসাম-মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে বারবার চেষ্টা ও অনুরোধ করেও ব্যর্থ হয়েছি।যার ফলে
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী এবং সাবেক সংসদ সদস্য কর্ণেল (অব:) এম আনোয়ারুল আজিম বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণে মাত্র ১৬৮ ভোটে ফেল করেছেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লাকসাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল কুদ্দুস, সিনিয়র সাংবাদিক মশিউর রহমান সেলিম, সমকাল প্রতিনিধি নাসির উদ্দীন চৌধুরী, সাপ্তাহিক লাকসাম ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নূর উদ্দিন জালাল আজাদ, জাগো লাকসাম সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম, লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল উদ্দিন, যুগান্তর প্রতিনিধি এম এ মান্নান, মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক, সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল গোফরান ভুইয়া, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল বাকী মিলন, জিএম আহসান উল্লাহসহ শতাধিক সংবাদকর্মী।