সাবেক এমপি কর্ণেল আজিমের অনুসারী মঞ্জুরুল আলম বলেন, যারা দলের দুঃসময়ে পাশে ছিল না; তাদেরকে দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে আমরা মনোহরগঞ্জ বাজারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ সময় কালামের অনুসারী মাসুদুল আলম বাচ্চুর নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে আমাদের প্রতিরোধের মূখে তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, হামলাকালে কালাম অনুসারীরা দৈনিক দিনকাল প্রতিনিধি ও মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাবের (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাকি মিলনের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেয়া হয় এবং তার ট্রাইপড ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
সাংবাদিক আব্দুল বাকী মিলন বলেন, নবগঠিত আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে কর্নেল আজিমের অনুসারী মনজুরুল আলমের নেতৃত্বে মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাজার থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্য ভিডিও করছিলাম। মিছিলটি উত্তর বাজার পৌঁছলে কালাম গ্রুপের অনুসারীরা হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার মোবাইল ফোনটি ভেঙে দেয় এবং আমার ট্রাইপড ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য মাসুদুল আলম বাচ্চুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব সারোয়ার জাহান দোলন বলেন, আহবায়ক কমিটিতে সকলকে স্থান দেওয়া সম্ভব হয়নি। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতৃবৃন্দকে স্থান দেয়া হবে। কিছু লোক বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
সাংবাদিকের মোবাইল ভেঙ্গে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।