সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলু।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন।
জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ আবুল কালামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম ভিপি।
লাকসাম উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুর রহমান বাদল ও যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহ আলমের সঞ্চালনায় কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমীর মোস্তফা জামানসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একাধিক প্রার্থী নি থাকায় সম্মেলনে মোঃ আবুল কালামকে সভাপতি ও আব্দুর রহমান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক, মোশারফ হোসেন মুশু ও টিআর হারুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে লাকসাম উপজেলা বিএনপি এবং মোঃ ইলিয়াস পাটোয়ারীকে সভাপতি ও সরওয়ার জাহান দোলনকে সাধারণ সম্পাদক করে মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিএনপি দলীয় সূত্র জানায়, একইদিন লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তা স্থগিত করা হয়। আগামী ২২ আগস্ট এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, সম্মেলন ঘিরে বিএনপির দু'গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় লাকসাম উপজেলা সদরে থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ সময় সদর রোডের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকে। এ সময় লাঠিসোটা নিয়ে এক গ্রুপের লোকজন অপর গ্রুপের লোকজনের উপর চড়াও হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা জানান, দু গ্রুপের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে, সম্মেলন স্থলের কাছে খাবার গ্রহণের স্থানে বেশ কজনের চেয়ার ভাংচুর ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেয়।