মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৯ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। বুধবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের-২৫৭ নম্বর এ আসনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়শী সাহা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়েরসহ উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
মন্ত্রী বলেন, এদেশে বারবার অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় এসেছে। যতবার অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় এসেছে দেশ পিছিয়ে গেছে। আর যতবার জনগণের সরকার ক্ষমতায় এসেছে; বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এ রকম একটি ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা আজীবন সংগ্রাম করেছি। সাংবিধানিক ব্যবস্থাপনায় এদেশ পরিচালিত হচ্ছে এবং আগামী দিনে হবে। এ প্রত্যাশা করছি।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত করবো। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তাদের নির্বাচনে আসার বিষয়ে আমাদের সব সময় আহ্বান ছিল। এখনও আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত করবো। দেশের সংবিধান মানবেন না, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতি কোন সম্মান প্রদর্শন করবেন না, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। জ্বালাও পোড়াও করবেন? এটা এদেশের মানুষ আর মেনে নেবেনা।
মন্ত্রী বলেন, অতীতে বিএনপি নির্বাচন করতে দেবে না বলে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল। এমন লজ্জাজনক ঘটনার অভিজ্ঞতা এদেশে মানুষের ছিল না। পরবর্তীতে মানুষ তাদের মোকাবেলা করেছিল। অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক এ অভিজ্ঞতা মোকাবেলা করার শক্তি সামর্থ্য বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ অর্জন করেছে। যারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে তারা আজ অনেক দুর্বল। তারা যখন সবল ছিল, অনেক শক্তিশালী ছিল তখন বাংলাদেশের মানুষ তাদের মোকাবেলা করেছিল।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল -অবরোধ এখন ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, দেশের সাধারণ মানুষ হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ততার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ সময় মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী মো. কামাল হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।







.jpg)


