Featured

Type Here to Get Search Results !

ঘোড়ার গাড়িতে প্রিয় শিক্ষকের রাজসিক বিদায়


মো. আবুল কালাম: 
দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়েছেন শিক্ষার আলো। সেই ছাত্রদের কেউ এখন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কেউ জনপ্রতিনিধি, আবার কেউবা দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, রাজনীতিক। প্রিয় শিক্ষকের শেষ কর্মজীবনকে স্মরণীয় করে রাখতে তাই অকৃত্রিম ভালোবাসায় নানা আয়োজন ছিল শিক্ষার্থীদের। পুস্পস্তবক, মানপত্র, গান- কবিতাসহ উপহার-উপঢৌকন আর ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় দেওয়া হয় প্রিয় শিক্ষককে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এভাবেই রাজকীয় বিদায় জানানো হয় কুমিল্লার লাকসাম পৌর শহরের লাকসাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সিনিয়র শিক্ষক আবুল কাশেম ভূঁইয়াকে। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁকে দেওয়া হয় নানা উপহার। পরে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়িতে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় তারা প্রিয় শিক্ষক আবুল কাশেমের নানা অবদানের স্মৃতিচারণ করেন। তারা বলেন, ক্রান্তিলগ্নে বিদ্যালয়ের হাল ধরেন প্রিয় শিক্ষক আবুল কাশেম। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বাড়িতে গিয়েও খোঁজ-খবর নিতেন। ক্ষেত্রবিশেষে শিক্ষার্থীদের শাসনও করতেন। এতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝেও বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের ফলাফল উন্নয়নে তাঁর অবদান ভোলার নয়।

এমন আয়োজনে আপ্লুত শিক্ষক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালের পহেলা নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করি। নিয়োগ পরীক্ষায় ১৪৯ জনের মধ্যে আমি প্রথম হই। ২০ বছর ৪ মাস পর অবসরে যাচ্ছি। এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানো, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। এ কাজে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কমিটির সদস্য অভিভাবকরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সবাই আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, তাতে আমি আনন্দিত।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা যেন ভবিষ্যতে সমাজের জন্য, দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে পারে এ প্রত্যাশা করছি। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক বিদ্যালয়ের ফলাফল সহ সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবেন বলে আশা করি।’
এ সময় তিনি দীর্ঘ কর্মজীবনে ভুলত্রুটি ও রুঢ় আচরণের জন্য সহকর্মীদের নিকট ক্ষমা চান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারহানা নওশীনের সভাপতিত্বে বিদায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র শিক্ষক কোরবান আলী ভূঁইয়া, হাফেজ আবদুল মাবুদ, লক্ষন চন্দ্র আচার্য, আবু হানিফ, শাহজাহান কবির প্রমুখ।

Top Post Ad

আলমাছ ষ্টীল এন্ড স্টান্ডার্ড ফার্ণিচার