নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসাম জংশন বাজারে পাশাপাশি ছয়টি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোর চক্র দোকানে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, লাকসাম বাইপাস হাউজিং এস্টেট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভোরে মোঃ মাসুদ ওরফে সাগর (৩৫) নামে এক চোর আটক করা হয়েছে।
জংশন বাজারের নওশীন ষ্টোরের মালিক শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ১১টায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। রাত দুইটার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে বাজারের দারোয়ান রাস্তা থেকে সরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে দোকানের পেছনের দিকে টিনের চাল ও সিলিং কেটে ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকাসহ অন্ততঃ ২৩ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোর চক্র।
একই কায়দায় একে একে ৬টি দোকানে চুরি হয়। চোরেরা আবু সায়েদের ফারুক স্টোরের ১৫ হাজার টাকা, গাজিউর রহমানের তরকারী দোকানের ১০ হাজার টাকা, মুরাদ হোসেনের তরকারী দোকানের ৫ হাজার টাকা,
রায়হানের গোশত দোকানের নগদ ২২ হাজার টাকাসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে। তবে চোরেরা মিঠু চন্দ্র শীলের সেলুনে প্রবেশ করলেও কিছু নিতে পারেনি।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, পিছনে টিনের চাল কেটে দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে যায় চোরেরা। এতে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মাঝেও আতংক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জংশন বাজার কমিটির সভাপতি ও লাকসাম পৌরসভার প্যানেল মেয়র খলিলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় আমরা জরুরি বৈঠক ডেকেছি। বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নৈশপ্রহরী নিয়োগ, দোকানের সামনে-পেছনে বাতির ব্যবস্থাসহ প্রশাসনের সহযোগিতায় চোর চক্রকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, লাকসাম বাইপাস হাউজিং এস্টেট এলাকায় বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভোরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে মাসুদ ওরফে সাগর নামে আন্তঃজেলা চোর চক্রের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। কয়েকটি চুরির ঘটনায় স্থানীয় লোকজন রাত জেগে পাহারা দিয়ে এ চোরকে আটক করে।