রোববার (২৫ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার হামিদ।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের লাকসাম পাইলট স্কুলের গেটের বিপরীতে আমেরিকা প্রবাসী ও কামাল ডেকোরেশন গলির ভিতরে ইউএস স্টাইল ফুড ফ্যাক্টরিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, কতিপয় প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন চালানো হচ্ছিল। বিএসটিআই অনুমোদন, পরিবেশ ছাড়পত্র কিংবা সরকারি কোন অনুমোদন নেই এ ফ্যাক্টরির।
বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল, খোলা সরিষার তেল, খোলা আটা, খোলা চিনি, খোলা চা পাতা কিনে এনে চটকদার বোতল ও আকর্ষণীয় প্যাকেটে ভরে ইউএস স্ট্যাইল নাম দিয়ে উচ্চ মূল্যে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
অভিযানকালে ফ্যাক্টরির পরিচালক অভিযুক্ত জাবেদ আহমেদ (৪৬) স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করেন। এ সময় বিএসটিআই আইন ২০১৮ অনুযায়ী তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত এবং ইউএস স্টাইল ফুড ফ্যাক্টরি সিলগালা করা হয়। পরে ফ্যাক্টরি থেকে সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, চিনি ও আটা উদ্ধার করে স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের ফিল্ড অফিসার (সিএম) ইকবাল আহাম্মদ। এ সময় লাকসাম থানা পুলিশ আদালতকে সহযোগিতা করে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ জাগো লাকসামকে জানান, খোলা বাজার থেকে নিম্ন মানের সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, চিনি ও আটা সংগ্রহ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্যাকেটজাত করে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছিল। বিএসটিআই সিল ব্যবহার করলেও তাদের বিএসটিআই অনুমোদন নেই। এসব নিম্ন মানের ভোগ্যপণ্য উচ্চ মূল্যে বিক্রি করায় একদিকে গ্রাহকদের বেশি দাম দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।