নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী “হাসনাবাদ মহেন্দ্র খাল” এখন অস্তিত্ব সংকটে। একসময় যেখান দিয়ে স্বাভাবিকভাবে পানি প্রবাহিত হতো, আজ সেখানে গড়ে উঠেছে পাঁচতলা মার্কেটসহ বহু স্থায়ী অবকাঠামো। কেউ খালে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে, কেউ আবার অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে বানিজ্যিক ভাড়া দিচ্ছে—সবমিলিয়ে খালটি যেন দখলবাজদের সম্পত্তিতে রূপ নিয়েছে।
এর ফলে বর্ষা এলেই ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বসতবাড়ি, মাছের ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে পানির নিচে। সাধারণ মানুষের চলাফেরা, জীবনযাপন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা এ দখল প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের একাংশের মদদ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু জায়গায় ভূমি অফিস নিজেরাই খালের জায়গা লিজ ও ইজারা দিয়ে দখলকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, “খাল রক্ষায় কেউ মুখ খুললেই তার ওপর আসে নানাবিধ চাপ। অনেকেই ভয়-ভীতির কারণে চুপ করে থাকেন। অথচ ক্ষতিটা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।”
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের দাপটে দখলবাজরা দিনে দিনে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ খালের ওপর ব্যবসা করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন, অথচ খাল হারিয়ে মানুষের জীবন ডুবে যাচ্ছে দুর্ভোগে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাল উদ্ধার ও পুনরুদ্ধারে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কৃষি ও জনজীবনে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।
এলাকাবাসীর জোর দাবি— “হাসনাবাদ মহেন্দ্র খাল”-এর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পানি চলাচলের পথ ফিরিয়ে দিতে হবে এবং এই কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।







.jpg)



