নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ সালের এসএসসি, এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল পরীক্ষায় লাকসামের কোন প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেনি। তবে জিপিএ-৫ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার উপজেলার ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এসএসসিতে ২৫০ জন, ভোকেশনালে ১২ জন ও দাখিলে ৬১ জনসহ ৩২৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গতবার এ সংখ্যা ছিল ২৭৬ জন ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে এবার কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে উপজেলার ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২,৩৫৫ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মাঝে ১,৭১৫ জন, ৬টি কারিগরী বিদ্যালয়ের ২৬০ জন ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীর মাঝে ১৭৯ জন ও ১৮টি মাদরাসার ৯৬৮ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর মাঝে ৭৯৮ জন উত্তীর্ণ হয়। উপজেলায় পাশের হার এসএসসিতে ৭২.৮২, এসএসসি ভোকেশনালে ৬৮.৮৫ ও দাখিলে শতকরা ৮২.৩৪ ভাগ। লাকসাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন জাগো লাকসামকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এবার এসএসসিতে উপজেলার ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঝে নবাব ফয়জুন্নেছা ও বদরুন্নেসা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সংখ্যা ৬৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গতবার এ সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। এবার এ বিদ্যালয়ের ২২৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২১৯ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার শতকরা ৯৭.৩৩ ভাগ। তবে পাশের হারে সর্বোচ্চ লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ১৪১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৯৯.১৮ শতাংশ। গতবার এ বিদ্যালয়ের ৪১ জন জিপিএ-৫ পেলেও এবার পেয়েছে ৩৩ জন। আর পাশের হারে সর্বনিন্মে রয়েছে- রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ৬৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২৫ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৩৬.৭৬ ভাগ।
এছাড়াও গণ উদ্যোগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৯৬ জনে ৯৫ জন উত্তীর্ণ, ১৩ জন জিপিএ-৫, পাশের হার ৯৮.৯৬ শতাংশ। উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৬ জনে ৯২ জন উত্তীর্ণ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন, পাশের হার ৯৫.৮৩ ভাগ। আব্দুল মালেক ইনস্টিটিউটের (রেলওয়ে হাইস্কুল) ১২৩ জনে ১১৬ জন উত্তীর্ণ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ জন, পাশের হার ৯৪.৩১ শতাংশ। আতাকরা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৪৬ জনে ৩৮ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৮২.৬১ ভাগ। অশ্বদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০ জনে ৩৩ জন উত্তীর্ণ,জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন, পাশের হার ৮২.৫০ ভাগ। লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৪৭ জনে ২০০ জন উত্তীর্ণ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩ জন, পাশের হার ৮০.৯৭ শতাংশ। মেল্লা জগত চন্দ্র চন্দ্র কুমার (জেসিসিকে) উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৬ জনে ৩৭ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৮০.৪৩ ভাগ। ইছাপুরা সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০৫ জনে ৭৮ জন উত্তীর্ণ, ২ জন জিপিএ-৫, পাশের হার ৭৪.২৯ ভাগ। বরইগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৫ জনে ৩৩ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৭৩.৩৩ ভাগ। নরপাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৮ জনে ৮৯ জন উত্তীর্ণ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন, পাশের হার ৬৯.৫৩ ভাগ। মুদাফরগঞ্জ আলী নওয়াব উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১৭০ জনে ১১২ জন উত্তীর্ণ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন, পাশের হার ৬৭.৮৮ শতাংশ। ভাকড্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৯ জনে ৩২ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৬৫.৩১ ভাগ। এবার আমিন ইনস্টিটিউটের ১৮২ জনে ১১৩ জন উত্তীর্ণ হয়। গতবার ১১ জন জিপিএ-৫ পেলেও এবার পেয়েছে ৪ জন। পাশের হার ৬২.০৯ ভাগ। রহমানিয়া চির সবুজ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৯৬ জনে ৯৫ জন উত্তীর্ণ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন, পাশের হার ৫৮.৪২ শতাংশ। জালাল মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৬ জনে ৪৩ জন উত্তীর্ণ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, পাশের হার ৫৬.৫৮ ভাগ। কামড্যা শহীদ আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫২ জনে ২৯ জন উত্তীর্ণ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, পাশের হার ৫৫.৭৭ ভাগ। আজগরা হাজী আলতাফ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১০৭ জনের ৪৬ জন উত্তীর্ণ, ৩ জন জিপিএ-৫, পাশের হার ৪২.৯৯ ভাগ। শ্রীয়াং আলহাজ ছিদ্দিকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫২ জনে ২২ জন উত্তীর্ণ, একজন জিপিএ-৫, পাশের হার ৪২.৩১ ভাগ।গোবিন্দপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৮ জনে ২০ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৪১.৬৭ ভাগ। তোরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫২ জনে ২১ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৪০.৩৮ ভাগ। জ্যোতিঃপাল মহাথের উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২৪ জন উত্তীর্ণ হয়, পাশের হার শতকরা ৪০.০০ ভাগ।
এবার বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উপজেলার ৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আল আমিন ইনস্টিটিউটের ৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে একজন জিপিএ-৫সহ ৫২ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৮৯.৬৬ ভাগ। লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৯ জন জিপিএ-৫সহ ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৮৭.৬৯ ভাগ। উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪১ জনে ২৮ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৬৮.২৯ ভাগ। মুদাফরগঞ্জ আলী নওয়াব উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১৭ জনে ১১ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৬৫.৭১ ভাগ। রহমানিয়া চিরসবুজ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৩৬ জনে দুইজন জিপিএ-৫সহ ২১ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৫৮.৩৩ ভাগ। দৌলতপুর কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৩ জনে ১০ উত্তীর্ণ। পাশের হার ২৩.২৬ ভাগ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উপজেলার ১৮টি মাদ্রাসার মাঝে দৌলতগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদরাসার ১৪০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৮ জন জিপিএ-৫সহ ১৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৯৭.১৬ ভাগ। আল হেদায়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ৫২ জনে ৪ জন জিপিএ-৫সহ ৫০ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৯৬.১৫ ভাগ। পেঁচরা দারুসসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ৩৭ জনে ২১ জন উত্তীর্ণ, একজন জিপিএ-৫, পাশের হার ৯৩.৯৩ ভাগ। ফুলগাঁও ফাজিল মাদ্রাসার ৬৮ জনে ৬৩ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৯২.৬৫ ভাগ। মাওলানা নাজমুল হক দাখিল মাদ্রাসার ৩৮ জনে একজন জিপিএ-৫সহ ৩৫ জন উত্তীর্ণ পাশের হার ৯২.১১ ভাগ। কালিয়াপুর কাজিমুদ্দিন আলিম মাদ্রাসার ২৩ জনে একজন জিপিএ-৫সহ ২১ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৯১.৩০ ভাগ। পাশাপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৭ জনে একজন জিপিএ-৫সহ ১৫ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৮৮.২৩ ভাগ। বড়বাম ফাজিল মাদ্রাসার ১৩৬ জনে ২৩ জন জিপিএ-৫সহ ১১৯ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৮৭.৫০ ভাগ। আবেদনগর দাখিল মাদ্রাসার ৪০ জনে ৩২ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৮০.০০ ভাগ। মোজাদ্দেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩০ জনের ২৪ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৮০.০০ ভাগ। মুদাফরগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার ৭১ জনে ২ জন জিপিএ-৫সহ ৫৬ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৭৯.০০ ভাগ। দোগাইয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩৭ জনে ২৯ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৭৮.৩৭ ভাগ। গোপালপুর দাখিল মাদ্রাসার ২৪ জনের ১৮ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৭৫.০০ ভাগ। নারায়ণপুর দাখিল মাদ্রাসার ৫৫ জনের ৪১ জন উত্তীর্ণ, ২ জন জিপিএ-৫, পাশের হার ৭৪.৫৪ ভাগ। বিজরা নাজিরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৭১ জনে ৫৪ জন উত্তীর্ণ, ৮ জন জিপিএ-৫, পাশের হার ৭৩.০৬। এম এ বারি জিহাদীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩৭ জনে ২১ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৫৬.৭৬ ভাগ। ছিলইন ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৪২ জনে ২৩ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৫৪.৭৬ ভাগ। আউশপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার ৫৪ জনে ২৯ জন উত্তীর্ণ, পাশের হার ৫৩.৭০ ভাগ।







.jpg)



