নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসামে নবাব ফয়জুন্নেছা জমিদার বাড়ি জাদুঘরে দুই শতাধিক নতুন নিদর্শন নিয়ে উদ্বোধনের প্রতীক্ষায় নতুন গ্যালারী। এ নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের চুড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
নবাব পরিবারের সদস্যদের সরবরাহকৃত আংগুলের আংটিতে থাকা ৩০ পরা কোরআন শরিফ, রুপজালাল গ্রন্থের হাতের লেখা মুল পান্ডুলিপি,ব্যবহ্রত সুগন্ধি আতর, আতরদানি, স্বর্ন রৌপ্য রাখার সিন্ধুক,ফয়জুন্নেছা যে খাটে মরা গেছেন সেটি সহ প্রায় শতাধিক মহা মুল্যবান নিদর্শন ইতিমধ্যে হস্তান্তর হয়েছে।
হস্তান্তরের প্রতীক্ষায় রয়েছে- স্বর্ন খচিত কোরআান, কস্টি পাথরের পিড়া, জামদানী শাড়ী, কাবা শরীফ ও মদিনা শরীফের গিলাফের অংশ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সৈয়দা নাসরিন রাব্বানী ও সৈয়দা সাব্বিন ইকবালের প্রেরিতব্য মহামূল্যবান সামগ্রি। মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের বরাদ্দকৃত ১ কোটি টাকায় চলছে নবাব ফয়জুন্নেছার ব্যবহৃত পুকুরের সংস্কার, ঘাটলা মেরামত ও ওয়াকওয়ে নির্মানের কাজ। দর্শনার্থীদের জন্য মন্ত্রীর সুপারিশে নির্মাণ হবে ওয়াশব্লক ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
একান্ত আলাপচারিতায় মোতাওয়াল্লী সৈয়দ মাসুদুল হক বলেন, এটি এখন আর তাদের বসবাসের আবাসিক ভবন নয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত লাকসামের নবাব ফয়জুন্নেছা জমিদার বড়ী জাদুঘর।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর বংশধররা পশ্চিমগাঁয়ে অবস্থিত জাদুঘরে নিদর্শন হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নবাব ফয়জুন্নেছা ওয়াকফ স্টেটের মোতোয়াল্লী সৈয়দ মাসুদুল হক, সাবেক মোতোয়াল্লী সৈয়দ কামরুল হক, বিশিশ্ট সাংবাদিক কলামিস্ট এম এস দোহা, জাতীয় জাদুঘরের উপ-পরিচালক মনিরুল হক, উপ-পরিচালক শওকত ইমাম খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসেন, ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি জাদুঘরের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
নিদর্শন সংগ্রহ অনুষ্ঠানে ফয়জুন্নেছার বংশধররা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয়দের নিকট এ মহিয়ষী নারীর ব্যবহৃত ও সংগৃহীত অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র রক্ষিত আছে।
পর্যায়ক্রমে এসব মূল্যবান জিনিসপত্র সংগ্রহ করে জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হবে।
জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
পশ্চিমগাঁও নবাব বাড়িতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নবাব ফয়জুন্নেছার বংশধরদের পক্ষ থেকে এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানানো হয়।