Featured

Type Here to Get Search Results !

কিশোরী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে ইউপি মেম্বার কর্তৃক মাদরাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার আব্দুল হক (৪২) ঐ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য ও যুবলীগের সভাপতি। সে একই গ্রামের জ্বীন বাড়ির তাবারক উল্লাহর ছেলে। এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, গত ২২ জুন শনিবার দিবাগত রাতে ঐ মেয়ের মা কুসুম আক্তার বাড়িতে না থাকার সুযোগে মেম্বার আব্দুল হক ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার আত্ম চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে মেম্বার আব্দুল হককে আটক করে রাখে। পরদিন সকালে জনৈক সাইফুল তাকে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে আসে।

এ নিয়ে ২৪ জুন রোববার চেয়ারম্যান শামিমের বাড়িতে এক শালিস বসে। এ সময় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ধর্ষিতা মেয়েটির জবানবন্দীর পর চেয়ারম্যান শামিম ধর্ষণের সত্যতা যাচাইয়ের মেয়েটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এদিকে, অভিযুক্ত মেম্বার আব্দুল হক ও ধর্ষিতার পরিবারের খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে এলাকায় নানা গুঞ্জন উঠেছে। তাছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে ধর্ষক আব্দুল হক মেম্বারের সাথেই বিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

এ ঘটনায় বক্তব্য নেয়ার জন্য অভিযুক্ত আব্দুল হক মেম্বারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 এ বিষয়ে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম বলেন, ঘটনার পরদিন উভয় পক্ষ আমাদের বাড়িতে আসে। বিস্তারিত জেনে ধর্ষিতার পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি। আর ঘটনা তদন্ত করে ইউপি সদস্য ও যুবলীগের পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করি।

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

লাকসাম থানার ওসি সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

Top Post Ad

আলমাছ ষ্টীল এন্ড স্টান্ডার্ড ফার্ণিচার