নিজস্ব সংবাদদাতা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মো. রিয়াজ হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ভাড়া বাসায় তার অর্ধঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিয়াজ উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টায় পৌর সদরের জামে মসজিদ রোডে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়। শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ।
জানা গেছে, ২০২১ সালে উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে মো. রিয়াজ হোসেন (২৪) প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের দেড়কোটা গ্রামের অলি আহমেদের মেয়ে পিয়াসাকে। বিয়ের পর উভয় পরিবার বেশ কয়েক মাস তাদের এ সম্পর্কটি মেনে নেয়নি। পরবর্তীতে রিয়াজের বাবা মোস্তফা মিয়া তার ছেলে এবং পুত্রবধূকে বাড়িতে নিয়ে যান। এর মধ্যে রিয়াজ প্রবাসে চলে যাওয়ার কয়েক মাস পর পুত্রবধূ পিয়াসা তার শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার জামে মসজিদ রোডে একটি ভাড়া বাসায় ওঠে। প্রবাসী রিয়াজ কিছুদিন আগে দেশে এসে পুরাতন বাসা পরিবর্তন করে একই এলাকায় আরেকটি নতুন বাসায় ওঠেন। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল। শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে রুমে রেখে রিয়াজ পাশের রুমের ঘুমায়। পরে জানালার গ্রিলের সাথে গলায় গামছা পেঁচানো অর্ধ ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। শনিবার সকালে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত রিয়াজের বাবা মোস্তফা মিয়া জানান, ছেলের বউয়ের অন্যত্র অবৈধ সম্পর্ক আছে। টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ করে সে অন্যত্র চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমার ছেলেকে কৌশলে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘যুবকের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট এলে জানা যাবে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।’